Sunday, April 29, 2018

সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্র, পিপাসু মেধার অজানা তথ্য

সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্র, পিপাসু মেধার অজানা তথ্য। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বন্যপ্রাণি ইকোট্যুরিস্ট করমজলে প্রজনন কেন্দ্রের বানর-হরিণ, কচ্ছপ ও কুমিরসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত।
সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্র, পিপাসু মেধার অজানা তথ্য
আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজলে এই পর্যটন মৌসুমে এলাকাটি ঘুরে আনন্দ-উপভোগ করছেন। সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, করমজলে হরিণ ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রে যদি ডলফিনের প্রদর্শনি করা সম্ভব হয় এবং বনে যেসব অরকিড আছে সেগুলোর বাটার ফ্লাইয়ের গার্ডেন করে একটু বৈচিত্র্য আনতে পারলে আরও দর্শানার্থী বাড়বে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্র্থী আব্দুল মমিন বলেন, আমরা ৪৬ জনের একটি টিম আসছি। বইতে পড়েছি সুন্দরবন সম্পর্কে, কিন্ত আজ স্বচক্ষে দেখে খুবই ভাল লেগেছে। এখানকার প্রাকৃতিক বনের সৌদর্য আলদা বৈশিষ্টের, না দেখলে বুঝানো যাবে না। অনেক কিছু দেখলাম, অনেক মজা করেছি।
ফরিদপুর থেকে আসা গৃহবধূ তায়শা ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে প্রথম এসে হরিন, বানর, কুমির, বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ও নানা পশুপাখি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। যারা সুন্দরবনে আসেননি, তারা সুন্দরবন ঘুরে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এই বনের আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে।
সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্র
তবে অনেক দর্শনার্থীদের অভিযোগ, ট্যুরিজম এলাকায় দর্শনার্থীদের বসার টুলের ব্যবস্থা নেই, ফুট ট্রেইল ও ওয়াচ টাওয়ারটি নাজুক। একারণে দর্শনার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এখানে অবকাঠামোর উন্নত ব্যবস্থা থাকলে দর্শনার্থীরা ভালোভাবে সুন্দরবন ঘুরে দেখতে পারতো।
বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে বন্যপ্রাণি ইকোট্যুরিজম সেন্টার হওয়ায় প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশের প্রতিবেশ পর্যটকরা আসছে নৈসর্গ উপভোগ করতে। সুন্দবনের বানর, হরিণ ও কুমিরসহ পশু-পাখি খুব কাছ থেকে দেখা ও স্পর্শ করা যায়। এছাড়া বনের সৌন্দার্য দেখার জন্য রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। একারণে সহসাই বনের দৃশ্যগুলো দেখে দর্শনার্থীর মুগ্ধ। অনেক দর্শনার্থীরা বনের অবিরাম দৃশ্যগুলো ধারন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্র, পিপাসু মেধার অজানা তথ্য
কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রানী ইকোট্যুরিজমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এসএসসির পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার দর্শানর্থীদের সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। পর্যটক মৌসুমে এখানে দুটি ঘাট যথেষ্ট নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে নতুন কিছু অবকাঠামো নির্মানের। যাতে ঘুরতে এসে কোন দর্শনার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।

No comments:

Post a Comment

Follow Us @VisitSundaebon